নোটিস বোর্ড

আপনিও হয়ে উঠুন আপনি নাগরিক সাংবাদিক

আপনিও হয়ে উঠুন আপনি নাগরিক সাংবাদিক "নাগরিক সাংবাদিক বাংলাদেশ" এর স্পর্শে। নগর ও নাগরিক সমস্যা সহ যে কোন বিষয়ে আপনার লেখে ছবি...

সাহিত্য ও সংস্কৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সাহিত্য ও সংস্কৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৯

বর্ণমালা বিহীন কবিতা - কবি মুস্তাফিজুর রহমান শিবলী

 কবি মুস্তাফিজুর রহমান শিবলী 
এখন আর কবিতা লিখতে হয় না!
মাঠে ময়দানে খোলা আকাশের নিচে
অসংখ্য হিংস্র মানুষের ভীড়ে
এখন এমনিতেই সৃষ্টি হয়ে যায় কবিতা।

স্বর ও ব্যঞ্জন বর্ণ দিয়ে তৈরি শব্দের গাঁথুনি ছাড়াই
এখন বোধগম্য আর প্রাঞ্জলতা গুণ সমৃদ্ধ
বিষাদময় কবিতার জন্ম হয়।

“মা নিচে চলে গেছে
বই খাতা কলম স্কুল ব্যাগ সাথে মজাদার চকোলেট
আর নতুন জামা নিয়ে
অতি শীঘ্রই চলে আসবে সে”।

অবোধ শিশুর মুখ থেকে নিঃসারিত
অত‌্যন্ত পীড়াদায়ক কথাগুলো হয়ে উঠে
কবিতার মূল উপজীব্য বিষয়।
কবিতার নামকরণ হয়;ভাই আমাকে মাইরেন না।
আমার দু'টি বাচ্চা আছে।

নাগরিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে আপনিও হয়ে উঠুন নাগরিক সাংবাদিক

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯

সুবিধাবাদী বর্ণচোরা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে গুনী মানুষের অভাব নাই - নাগরিক সাংবাদিক বাংলাদেশ

সুবিধাবাদী বর্ণচোরা এই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে গুনী মানুষের অভাব নাই, অভাব রয়েছে ভাল মানুষের। চলনে বললে মননে একজন আদর্শ ভদ্রলোক দেশসেরা গীতিকার শহীদুল্লাহ্ ফরায়েজী ভাই। ২০০২ সালে আমার তুমুল ব্যস্ততায় একদিন উনি বললেন আমার জন্য গান লিখেবেন কিনা। আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। সুর এবং কম্পোজিশনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই আমি ব্যাপারটা উনার উপর ছেড়ে দিলাম। তিনি সংগীত পরিচালক আজাদ মিন্টু ভাই, প্রয়াত বারী সিদ্দিকী ভাই এবং মনি জামান ভাইকে নিয়ে কাজ শুরু করলেন। তারপর বাকী সব ইতিহাস, ইন্ডাস্ট্রি পেতে শুরু করল একের পর এক জনপ্রিয় গান, যেগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে। ঐ সমস্ত গান গুলো ভিউতে নয়, গেঁথে আছে মানুষের মনে।

অনেক মিক্সড এ্যালবাম হলেও সলো এ্যালবামে গান হচ্ছিলো না ফরায়েজী ভাইয়ের। পরে 'অপরূপা' গানটি তিনি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন আমাকে। ব্যক্তি জীবনে সহজ সরল মানুষটি আমার একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবক, আমরা একসাথে অনেক মননশীল আড্ডা দিয়েছি। তিনি একজন নিবেদিত প্রান সংস্কৃতি কর্মী। একজন গবেষক। একজন অদ্ভুত ধরনের গীতিকবি, গানে উনার খুঁজে বের করা কথাগুলো মাথার উপর দিয়ে যায় মাঝে মাঝে।

আজ আমাদের প্রিয় শহীদুল্লাহ্ ফরায়েজী ভাইয়ের শুভ জন্মদিন। ব্যক্তিজীবনে চিরকুমার এই মানুষটিকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক শ্রদ্ধা করি। উনার শারীরিক সুস্থ্যতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। শুভ জন্মদিন ফরায়েজী ভাই...

ভালবাসা অবিরাম...
লেখক আসিফ আকবর
আপনার নাগরিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে আপনিও যোগ দিন, হয়ে উঠুন নাগরিক সাংবাদিক

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯

সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে আজ মিউজিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেহাল দশা - আসিফ আকবর

ও প্রিয়া তুমি কোথায় থেকে শুরু করে আমার অডিও এবং প্লে-ব্যাক ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে। শুরু থেকে এগুলো কিছুই বুঝতাম না, এখনো বুঝিনা কারন ওগুলো আমার কাজ না। শ্রদ্ধাভাজন গীতিকার সুরকার কম্পোজার এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই ছিলো গানগুলোর মূল উদ্যেক্তা, আর সেই গানগুলোকে প্রান দিয়েছেন লাখো কোটি শ্রোতা। তখন ইউটিউব ফেসবুকের অস্তিত্ব ছিলোনা। ক্যাসেটের যুগের সাথে সিডি মার্চ করা শুরু করে, সেই সিডি লোগোসহ ছেপে আমদানি করতে হতো সিঙ্গাপুর থেকে। তারপর আস্তে আস্তে দেশে এ সমস্ত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়, এক পর্যায়ে ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড় আকার ধারন করে। শিল্পী কলাকুশলী কোম্পানিসহ দেশব্যাপী সঙ্গীতের একটা রমরমা বাজার গড়ে ওঠে। সবাই বানিজ্যিক ভাবে গান গেয়ে সফলতার মুখ দেখা শুরু করে, শিল্পীদের একটা নিরাপত্তা বলয় তৈরি হয়। সৃষ্টি হতে থাকে একের পর এক কালজয়ী গান, যা মানুষকে এখনো আনন্দ দিয়ে যায়। এরপর পাইরেসির থাবায় শিল্পী এবং চোর-দুই দলই পরাস্ত।

লেখক আসিফ আকবর
তখন জ্ঞানী সমালোচক ছিলেন, যারা স্টাডি করে মতামত প্রকাশ করতেন। কম্পোজার সুরকার গীতিকার একসঙ্গে বসে একটি গানের সৃষ্টি হতো, প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের উপদেশ নিতেন। ফিল্মের গানের ক্ষেত্রে পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই একসাথে বসে একটা গান তৈরী করতেন। সেই বাংলা গানগুলোই এখন রিয়েলিটি শো'র গায়ক গায়িকা কিংবা কভার শিল্পীদের পূঁজি। তারা নিজেরা কোন মৌলিক গান জুতসই ভাবে শ্রোতাদের দিতে পারছেনা। টিভি এবং রেডিও চ্যানেলগুলো এ সমস্ত শো'র মাধ্যমে ফাঁকতালে নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তারা জানে শিল্পীরা মিডিয়া ভয় পায়। তাছাড়া শিল্পীদের আভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে টেলকো, কন্টেন্ট প্রোভাইডারদের মত ডিজিটাল টাউট গুলো আসল মুনাফা গিলে ফেলেছে আরো আগেই। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে আজ মিউজিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেহাল দশা।

এই পোষ্টের মুল পয়েন্ট অন্য জায়গায়। এখন ইউটিউব ফেসবুকে অনেক বিদগ্ধ সমালোচক পাওয়া যায়, সেই সঙ্গে উপদেষ্টাও। তাদের মতামত কারণে অকারণে তাদের মতই ছিটকাইয়া ছিটকাইয়া বের হয়। এরাই লুঙ্গি ড্যান্স, চার বোতল ভদকা,ও হুজুর শুনলে ঘরোয়া পার্টি কিংবা কর্পোরেট শো'তে পাগল হয়ে মাতলামী শুরু করে। এদিকে আমরা রিদমিক গান করলেই নাক সিটকানো মন্তব্য শুরু করে।একে প্রযোজকের চাহিদা মেটানো, আরেকদিকে সামাজিক অনুষ্ঠানে হিন্দী গানের দৌরাত্ম্য বন্ধের চেষ্টা আমাদের, আমরা চাই সবখানেই বাংলা গান বাজুক। এরা হচ্ছে এই প্রজন্মের অকর্মন্য নপুংশক উপদেষ্টা আর সমালোচক, যাদের নিজেদের কিছু করে দেখানোর যোগ্যতা নেই। তবে কিছু ক্রিয়েটিভ সমালোচক এবং উপদেষ্টার সন্ধান চাই আমার পেইজের মাধ্যমে। তিন তিন ছয়জন থাকবেন, তারা আমার সাথে বসে লাইভে কথা বলবেন, তাদের নিয়ে আমার পেজ থেকে সরাসরি আপনাদের সামনে হাজির হবো। তারা কি বলতে চান, কেন বলতে চান, কিভাবে বলতে চান এবং সেই সঙ্গে সমাধানের পথ নিয়েও আলোচনা হবে। যারা যারা এই ধরনের মহতী ডিবেটে অংশগ্রহনে আগ্রহী তারাও কমেন্ট করে জানান ফেসবুকে। আমার গান সম্বন্ধে ধারনা নিয়ে আসলে আলোচনা ভাল হবে।

বিষয় - আসিফ আকবর এর গান... কাউন্টডাউন শুরু...

ভালবাসা অবিরাম...
ছবি কৃতজ্ঞতা— ওমর ফারুক 
Citizen journalist Bangladesh নাগরিক সাংবাদিক বাংলাদেশ

ধন্যবাদ শরৎবাবু, আমাকে কৈশোরে নিয়ে যাওয়ার জন্য

লেখক ইফতেখার হোসাঈন শামীম
লেখক ইফতেখার হোসাঈন শামীম
হুমায়ূন নেশায় বুঁদ হয়ে ছিলাম, শরৎবাবুর মেজদিদি পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিলো না। এদিকে "জল জোছনা" শেষে হুমায়ূনের আর কোনো বইও আমার কাছে ছিলো না। অবশেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই "মেজদিদি" হাতে নিলাম। গল্পের ভিতর সে কি সম্মোহনী শক্তি, প্রতিটি লাইনেই চোখ থেকে অশ্রু ঝরছিলো।

আমার স্পষ্ট মনে আছে, যখন ক্লাস সিক্স, সেভেন এবং এইটে পড়তাম, তখন বাংলাসাহিত্যের অধিকাংশ বই'ই পাঠ করেছি। ট্র্যাজেডির বইগুলো পড়ার সময় আমি ভীষণ কাদঁতাম, চোখ থেকে ঝর্ণার মতো পানি ঝরতো।
আজ দীর্ঘদিন পর মনে হলো, আমি সেই দিনগুলোতে ফিরে গেছি। অথচ শেষ দুই বছরে আমি কান্না'কে ভুলে গিয়েছিলাম।

যত'ই শোক কিংবা বিরহ আসুক, কাঁদতে পারতাম না।
ধন্যবাদ শরৎবাবু, আমাকে কৈশোরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আপনার নাগরিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে আপনিও যোগ দিন, হয়ে উঠুন নাগরিক সাংবাদিক