নোটিস বোর্ড

আপনিও হয়ে উঠুন আপনি নাগরিক সাংবাদিক

আপনিও হয়ে উঠুন আপনি নাগরিক সাংবাদিক "নাগরিক সাংবাদিক বাংলাদেশ" এর স্পর্শে। নগর ও নাগরিক সমস্যা সহ যে কোন বিষয়ে আপনার লেখে ছবি...

স্মৃতিচারণ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্মৃতিচারণ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯

শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় ব্লগার সুরঞ্জনা মায়া মেডাম শুভ জন্মদিন নাগরিক সাংবাদিক বাংলাদেশ

আজ নাগরিক সাংবাদিক বাংলাদেশর এর জন্মদিন। আজকেই জন্ম নিল নাগরির সাংবাদিক বাংলাদেশ। ঠিক আজকের দিনটায় জন্ম নিয়েছেল শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় ব্লগার সুরঞ্জনা মায়া মেডাম। জানিনা আজ উনার কতো তম জন্মদিন। শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় ব্লগার সুরঞ্জনা মায়া মেডামকে ও উনার জন্মদিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে আজকের এই দিনটায় নাগরিক সাংবাদিক বাংলাদেশ  উদ্বোধন ঘোষণা করছি। শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় ব্লগার সুরঞ্জনা মায়া মেডাম শুভ জন্মদিন নাগরিক সাংবাদিক বাংলাদেশ। শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় ব্লগার সুরঞ্জনা মায়া মেডাম ও উনার জন্মদিনকে সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদন পূর্বক শিরোনামে আগে "শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় ব্লগার সুরঞ্জনা মায়া মেডাম" এবং পরে "জন্মদিন নাগরিক সাংবাদিক বাংলাদেশ" উল্লেখ করেছি।

ছোটবেলা থেকেই আমাদের তিন ভাইবোন, আব্বার জন্মদিন পালন হতো। আম্মারটা হতোনা। আমার উচ্চ শিক্ষিত নানা দেশ, জাতি, আত্মিয় সবাইকে শিক্ষার আলো দিতে গিয়ে সন্তানদের জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধ করতে হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন। আম্মা বলতেন উনার জন্ম ফাল্গুনে। আম্মার জন্মদিন পালন হতোনা, এটা নিয়ে ছোটবেলায় কখনো কোনো মনোবেদনা হতোনা। আম্মাদের আবার জন্মদিন হয় নাকি? বাল্যে, কৈশোরে কখনো কেক কেটে, মোমবাতি জ্বালিয়ে জন্মদিন পালন হয়নি। অজস্র মানুষের শুভেচ্ছা বার্তাও পাইনি। আম্মার হাতের পায়েস, কখনো বা নতুন একটা জামা ( খুবই কম ) আর সকালে উঠেই সাবধানবানী " আজ কিন্তু জন্মদিন, খবরদার! এমন কিছু করিসনা যে মার খেতে হয়"! আব্বা, ভাই, বোন জানতো আমার জন্মদিন। কিন্তু মুখ ফুটে "হ্যাপি বার্থডে" বলার চল ছিলোনা আমাদের মধ্যবিত্ত্ব পরিবারে। জন্মদিনে পায়েস খেয়ে দিন শুরু হতো। দুপুরে হতো মাংস, ভাত। তখন মাংস সপ্তাহে এক আধ দিন খাওয়া হতো। তাই সপ্তাহের রুটিন ভেংগে আরেকদিন বাড়তি মাংস খেতে পারাটাই আমাদের জীবনে অনেক আনন্দদায়ক ছিলো। আব্বার জন্মদিনে আম্মা পায়েস ছাড়াও এক প্যাকেট সিগারেট দিতেন। আমি ভোরে উঠেই পাড়ার বাগান থেকে ফুল চুরি ( না বলে নিলে, সেটা তো চুরিই হয়, না কি? ) করে তোড়া বেধে আম্মার হাতে দিতাম। সিগারেটের প্যাকেট, ফুলের তোড়া, নিদেন পক্ষে একটি গোলাপ ঘুম থেকে উঠেই আব্বা পেতেন। কৈশোরে টিফিনের আট আনা পয়সা জমিয়ে জমিয়ে আব্বাকে " রবীন্দ্র-রচনাবলী দিয়েছিলাম কয়েক বছর। ছোট বোনটা আম্মার কোলপোঁছা, অতি আদুরে, ওর প্রথম জন্মদিনে পাড়ার বেশ কয়েকজন বাচ্চাদের বাসায় ডেকে পায়েসের সংগে ময়মনসিংহের বিখ্যাত মালাইকারী আরো অনেক কিছু খাওয়ানো হলেও কেক কাটা হয়নি, এটা মনে আছে। আম্মা, আব্বার বিবাহ বার্ষিকিতে আমরা ফুল এনে, আব্বা, আম্মাকে ছোট খাটো উপহার দিতাম। এ সবই ছিলো আমাদের পারিবারিক উৎসব। সন্তানেরা বড় হবার আগ পর্যন্ত আম্মা, আব্বা, ভাই, বোন ছাড়া আর কেউ আমার জন্মদিনের কথা মনেই করতোনা। কুম্ভকর্ণ বেচারা নিজের জন্মদিনই মনে রাখতে পারতোনা। আর মাতৃহীন, ছন্নছাড়া পরিবারে সে এসবে অভ্যস্ত্বও ছিলোনা। সন্তানেরা বড় হবার পর জন্মদিনে প্রথম কেক কেটেছি, মোমবাতিও ফু দিয়ে নিভিয়েছি। সবাই আনন্দ পেয়েছে। আমিও যে পাইনি তা বলবোনা। এখনও মায়িশার লুকিয়ে আনা কেক কাটি। কিন্তু তা শুধু মাত্র পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। ২০০৭ এ ফেসবুক, ২০০৮ এ ব্লগ....তারপর থেকে জন্মদিনে ব্লগে, ফেসবুকে আত্মিয়, বন্ধু, স্বজন, কাছের মানুষ সবার এতো এতো শুভেচ্ছা পাই, আমার চোখ ভিজে যায়। এখন অবশ্য ব্লগে নেই। কিন্তু আমার সহ ব্লগাররা অনেকেই আমার ফেসবুকে আছেন। এবারও আমার জন্মদিনে ফেসবুক ফ্রেন্ড, আমার আত্মিয়, রক্তিয়, সবার এতো এতো শুভেচ্ছায় আমি ভেসে গিয়েছি। আমি খুব সাধারন, নগন্য একজন মানুষ।তাই অজস্র শুভেচ্ছা ফোনে, ফেসবুক ওয়াল, ইনবক্সে এসেছে আমি চেষ্টা করেও হয়তো সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে পারিনি। আমার এ অক্ষমতা আপনারা ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি। সবাইকে অসংখ্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

লেখকঃ সুরঞ্জনা মায়া

    সুরঞ্জনা মায়া

আপনার নাগরিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে আপনিও যোগ দিন, হয়ে উঠুন নাগরিক সাংবাদিক